Makhan Lal Das & Sons

+91 92391 52412
info@makhanlall.in

About Us

>
About Us

আজ থেকে ১৯৬ বছর আগে পাথুরিয়াঘাটার হাটে মিষ্টি বিক্রি করতেন বর্ধমান-খণ্ডঘোষের দুবরাজহাট গ্রাম থেকে আসা ময়রা রামচন্দ্র দাস। ছয় প্রজন্ম পেরিয়ে রাম-ময়রার সেই দোকান আজ কলকাতার অন্যতম সন্দেশ-বিক্রেতা ‘মাখনলাল দাস অ্যান্ড সন্স’।
সাবেক চিৎপুর রোডের উপরে এখন যেখানে ‘নতুন বাজার’, সেই অঞ্চলেই সোমবার আর বৃহস্পতিবারে বসত হাট। সেই দু’দিন হাটতলার কুঁড়েতে আর সপ্তাহের অন্য দিনে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করতেন রামচন্দ্র। সে যুগের রীতি অনুসারে ময়রার নামেই চলত দোকান। পুত্র মাধবচন্দ্র বাবার মতোই মিষ্টি বেচতেন ওই হাটে। তিনি ছিলেন স্বল্পায়ু। অবস্থার পরিবর্তন হল মাধবচন্দ্রের ছেলে মাখনলালের সময় থেকে।
অল্প বয়সে পিতৃহীন হওয়ায় দোকানের ভার পড়ল সিপাই বিদ্রোহের বছর তিনেক আগে জন্মানো মাখনলালের হাতে। এখন দোকানের অন্যতম মালিক স্বপন দাস জানালেন, মাখনলাল প্রথমেই নজর দিলেন মিষ্টির গুণমানের দিকে। বাংলার মিষ্টান্নশিল্পের আদি পর্বে ছিল চিনি থেকে তৈরি নবাত, বাতাসা, কদমা, তিলুয়া, মণ্ডা জাতীয় মিষ্টি আর ঘিয়ে ভাজা পান্তুয়া জাতীয় মিষ্টি। দ্বিতীয় রকমের মিষ্টি দেবসেবায় নিষিদ্ধ ছিল। তাই ময়রারা যে কোনও এক রকমের মিষ্টি তৈরি করতেন। পিতৃপুরুষের ধারা মেনে মাখনলাল মণ্ডা জাতীয় মিষ্টি তৈরিতেই জোর দিলেন। ইতিমধ্যে বাংলার মিষ্টান্নশিল্পে আবির্ভূত হয়ে গিয়েছে ‘সন্দেশ’ নামে এক প্রকার মিষ্টি।

দুধ কাটিয়ে তার থেকে ছানা বের করে, সেই ছানার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে কড়ায় পাক দিয়ে তৈরি করা হত সেই সন্দেশ। মাখনলাল মণ্ডা জাতীয় মিষ্টির পাশাপাশি সন্দেশ তৈরিতেও মন দিলেন। পাশাপাশি ‘ব্র্যান্ডিং’-এর শর্ত মেনে নিজের নামানুসারে দোকানের নামকরণ করলেন ‘মাখনলাল দাস’। চিৎপুর নতুন বাজারের ভিতরের সেই দোকানের বর্তমান ঠিকানা ৩১৩ রবীন্দ্র সরণি।
রামচন্দ্র দাস ময়রার মিষ্টির দোকান যখন ‘মাখনলাল দাস’ ব্র্যান্ড-নামে পরিচিত হতে চলেছে, বাংলার মিষ্টান্নশিল্পের তখন জোয়ার। জমিদার আর বেনিয়ান শ্রেণির কল্যাণে কলকাতা তখন ভাসছে ‘বাবু কালচার’-এর জোয়ারে। নব্য-বাবুদের রসনার পরিতৃপ্তি ঘটাতে ময়রার পাকশালাতেও চলছে হরেক গবেষণা। মাখনলালও মন দিলেন সন্দেশের মান উন্নয়নে।
প্রাণীদেহ থেকে উৎপন্ন বলে এক সময় গোরুর দুধ কাটানো ছানা দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন দেবতাকে দেওয়া যেত না। কালক্রমে সে বাধা উঠে গেলে রসগোল্লা-সন্দেশ দেবভোগ্য হয়ে উঠল। এখনও আমাদের দু’টাকা দামের সন্দেশ পাওয়া যায়। মাখনলালের দোকানে এখন পাওয়া যায় কড়া ও নরম পাকের ‘জলভরা’, ‘মনোহরা’, ‘দেলখোস’ ‘চকোলেট তালশাঁস’, ‘পেস্তা সন্দেশ’। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়ার বিনিময়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
মাখনলাল ছিলেন দীর্ঘজীবী। ১৯৪৬-এ তিনি ৯৩ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পরে পুত্র এবং পৌত্রদের হাত ঘুরে ব্যবসা এখন প্রপৌত্রদের হাতে। তাঁর এক প্রপৌত্র স্বপন দাস বলেন, ‘‘দাদু-বাবাদের কাছে শুনেছি, মাখনলাল মিষ্টির গুণমানের উপরে খুব জোর দিতেন। আমরাও সেটাকে গুরুত্ব দিই।

Today, 196 years ago, Moira Ramchandra Das, who came from Debrajhat village in Bardhaman-Khandagoshi, sold sweets in Pathusarihatara market. Today, the shop of Ram-Moera, passing through six generations, is one of the Sandesh-seller ‘Makhan Lal Das and Son’s of Kolkata.

Hats on Monday and Thursday in the region where the ‘new market’ is now on the former Chitpur road. Ramchandra sells sweets in the hutla cottage and other days of the week and sweets sold in the area. According to the custom of the era, the shop continued in the name of Moira. The son sold sweet sweets like Madhab Chandra Baba. He was short-lived The condition of the change is that of Madhab Chandra’s son from Makhan Lal.

Being orphaned at a young age, the charge of the shop fell in the hands of Makhanlal, three years before the Sepoy rebellion. Now Swapan Das, one of the owners of the shop, said, Makhanlal first focused on the quality of the sweets. In the early part of the confectionery of Bengal, the sweet nuts made from sugar, Lathas, Kadma, Tilua, Manda Sweets and Ghansha fried Pantuya are sweet.
The second kind of sweet was forbidden. So desserts made any kind of sweet. Makhanlal Munda insisted on making the sweetness of the country according to the tradition of the father. A sweet sandy named ‘Sandesh’ has already emerged in Bengal’s confectionery.

abtus

Start typing and press Enter to search

Shopping Cart